বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) হলো বিশ্বব্যাপী একটি অঞ্চলসমূহের প্রতিষ্ঠান, যা স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নির্দেশিত কাজ করে। বিসিডব্লিউও হলো একটি প্রধান আঞ্চলিক স্বাস্থ্য সংস্থা, যা স্বাস্থ্যসেবা, নীতি তৈরি, পরামর্শ ও সংগঠনের সাথে যুক্ত একটি গ্রাহক সেন্ট্রিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সমগ্র বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং সমগ্র মানবকেন্দ্রিক বিকাশের জন্য স্বাস্থ্য সেবার গুণগত ও কার্যকর মানদন্ড প্রচার করা। বিসিডব্লিউও প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক কার্য হলো গ্রাম্য এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা, প্রমুখ বিপদগুলির প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জরুরি চিকিৎসা প্রদান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কর্মসংস্থান স্থাপন করা ইত্যাদি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সদস্য দেশগুলির মধ্যে অবদান স্বরূপে গঠিত হয়েছে এবং সদস্য দেশগুলির মাধ্যমে বিসিডব্লিউও এর কাজ পরিচালিত হয়। এই সংস্থা স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি গঠন এবং সমগ্র স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য পরামর্শ প্রদান করে এবং স্বাস্থ্য সেবার মানদন্ড নির্ধারণ করে। তাছাড়াও বিসিডব্লিউও নিরাপত্তা, মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্যপ্রমোশন, রোগ নির্ধারণ ও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যপদার্থ ব্যবহার ও প্রবন্ধন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কাজ ও প্রদানে অবদান রাখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ও পরিস্থিতির সমাধান সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সংস্থা ও দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও বিসিডব্লিউও একটি কর্মসংস্থান হিসাবে কাজ করে এবং স্বাস্থ্য সেবার মানদন্ড এবং গুণগতকরণ পর্যালোচনা করে এবং সংশোধন করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয় জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের আন সিটির মতো বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা ও প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্দেশিকা ও নির্বাচিত ব্যক্তি সাধারণত স্বাধীনভাবে নির্বাচিত হয়।

অবশ্যই! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) একটি প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজে নিযুক্ত। এটি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর মূল লক্ষ্য হলো সমগ্র বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সেবার গুণগত ও কার্যকর মানদন্ড নির্ধারণ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে এবং গ্রাম্য এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কার্যকর পদ্ধতি তৈরি করে।

বিসিডব্লিউও বিভিন্ন কাজে নির্দেশিত হয়, যার মধ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি তৈরি এবং প্রচারণা, স্বাস্থ্য সেবার গুণগত ও কার্যকর মানদন্ড পর্যালোচনা এবং সমন্বয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, জরুরি চিকিত্সা সমর্থন প্রদান, উদ্বোধন ও ব্যবহার

যোগ্য ঔষধ পর্যবেক্ষণ, পুষ্টি ও খাদ্য সংস্থান, সার্বিক চিকিৎসা সেবা প্রদান, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য সেবা, রোগ নির্ধারণ ও নিরাপত্তা, এইচআইভি/এইডস প্রতিষ্ঠান ও প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিচালনা বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে লাগে।

এছাড়াও, বিসিডব্লিউও অনুসন্ধান করে এবং মানদন্ড স্থাপন করে যাতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য বিপদের কারণ সংগ্রহ করা যায় এবং সেই তথ্য ভিত্তিক করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যায়।

বিসিডব্লিউও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধানে এবং সমগ্র স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সক্ষম হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সন ১৯৪৮ সালে। এটি ৭ই এপ্রিল, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই বিসিডব্লিউও বিশ্বের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতি এবং কার্যক্রমের পরিচালনা করে আসছে। প্রায় ১৫০ থেকে বেশি দেশ এবং অঞ্চলে বিসিডব্লিউও এর সদস্য দেশ হিসাবে অংশ নিয়েছে।

অবশ্যই! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা যা স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি গঠন এবং স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে। বিসিডব্লিউও বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রদান করে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, জরুরি চিকিত্সা সেবা, মাতৃত্ব ও শিশু স্বাস্থ্য, রোগ নির্ধারণ ও নিরাপত্তা, ওষুধ নির্মাণ ও পর্যবেক্ষণ, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়ে কার্যকর পদ্ধতি তৈরি করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালনা করে সার্বিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং বিপণি দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান এবং স্বাস্থ্য বিকাশ বাড়ানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও, বিসিডব্লিউও গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ ও সাহায্যের মাধ্যমে দেশগুলিকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সহায়তা করে এবং সার্বিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাতে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) অনেকগুলি উদ্যোগ নেয় যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও সুস্থতা বিকাশ করতে চেষ্টা করে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম নিম্নলিখিত কিছু উদ্যোগ রয়েছে:

  1. সমগ্র স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গঠন ও পরিচালনা: বিসিডব্লিউও সদস্য দেশগুলির সাথে সহযোগিতা করে উন্নয়নশীল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গঠন ও পরিচালনায়। এটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং স্বাস্থ্য সেবার মান ও কার্যকরতা উন্নয়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে।
  2. স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও গবেষণা: বিসিডব্লিউও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও গবেষণা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও সাহায্য প্রদান করে। এটি বিশ্বের স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, মেডিকেল পরিচালনা, রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সা সেবা সম্পর্কিত উন্নয়নশ

ীল কার্যক্রম সমর্থন করে।

  1. সার্বিক চিকিত্সা সেবা: বিসিডব্লিউও দেশগুলিতে সার্বিক চিকিত্সা সেবা প্রদানের জন্য পরামর্শ ও সহায়তা করে। এটি মানদণ্ড স্থাপন করে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক চিকিত্সা সেবা পরিপ্রেক্ষিত করে।
  2. মাতৃত্ব ও শিশু স্বাস্থ্য: বিসিডব্লিউও মাতৃত্ব ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে। এটি মাতৃত্ব স্বাস্থ্য, শিশুদের পুষ্টি, অক্ষমতা নিরাময় এবং পরিবারের পরামর্শ সহায়তা প্রদান করে।

বিসিডব্লিউও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমস্ত দেশে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে চেষ্টা করে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাতে সমগ্র বিশ্বে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উন্নয়ন হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোথায় অবস্থিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) এর সদরণ স্থান জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। জেনেভা সুইজারল্যান্ডের রাজধানী হিসাবে পরিচিত একটি শহর। বিসিডব্লিউও এর মাঝেই স্থাপিত হয়েছে এবং এটি স্বাধীনভাবে কাজ করে আমেরিকাস, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, ওশিয়ানিয়া এবং একাডেমিক সহ সারা বিশ্বে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং নীতি উন্নয়নে কাজ করে। সাধারণত বিসিডব্লিউও এর প্রধান কার্যালয় ও সভাপতির কার্যালয় জেনেভায় অবস্থিত থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসাবে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সেবা সম্পর্কিত কাজে সহায়তা প্রদান করে। বিসিডব্লিউও একটি পার্থক্যমূলক সংস্থা হিসাবে একাধিক কাজকর্মে সহায়তা করে, যাতে দেশগুলি সমান ও উন্নয়নশীল স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারে। এছাড়াও, বিসিডব্লিউও আরও নিম্নলিখিত কাজকর্ম সম্পাদন করে:

  1. পরিবেশ ও স্বাস্থ্য: বিসিডব্লিউও পরিবেশ ও স্বাস্থ্য এর মধ্যে সম্পর্কিত কাজকর্ম সমর্থন করে। এটি পরিবেশের প্রদূষণ, জল সংরক্ষণ, খাদ্য সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সম্পর্কে গবেষণা এবং সচেতনতা উন্নয়নে কাজ করে।
  2. রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়: বিসিডব্লিউও রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় এর জন্য প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন প্রকল্প এবং উপ

দেশ প্রদান করে। এটি মানদণ্ড স্থাপন করে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় প্রকল্প সমর্থন করে।

  1. মানসিক স্বাস্থ্য: বিসিডব্লিউও মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক সমস্যার প্রতিরোধ ও সমর্থন করে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রচেষ্টা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উন্নয়নে কাজ করে।

বিসিডব্লিউও একটি সার্বজনীন সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সেবা প্রদান করতে চেষ্টা করে। এটি বিভিন্ন কাজকর্ম ও উদ্যোগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাতে স্বাস্থ্যকে সমগ্রভাবে উন্নয়ন করা যায়।

অত্র সংস্থা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবস্থিত অত্র বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এর সদরণ স্থান বিভিন্ন দেশের বাহিরের অফিসে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিষয়বস্তু মান প্রশ্ন এবং কর্মকাণ্ড কাঠামো গঠন করে বিভিন্ন দেশে অফিস নিয়োগ করে এবং সেবা প্রদানের জন্য জনগণের কাছে প্রাপ্য হয়। বিসিডব্লিউও এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা, অফিসে থাকার জন্য দরপত্র এবং প্রশিক্ষণ প্রদান এইগুলি নিয়ে কাজ করে থাকে।

এছাড়াও, স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে যাতে প্রায় করে চালক হয়ে থাকে। সংস্থার পরিচালকদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠান সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে কাজ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সময় সময় বিভিন্ন দেশে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাতে দেশের সরকারের সহায়তাও প্রাপ্ত করে। প্রতিষ্ঠা সময় থেকেই বিশ্বব্যাপী কাজ শুরু করে তবে প্রতিষ্ঠার সময় এটির নাম হল আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নাগরিক মহাসংঘ। 1948 সালে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের মধ্যে পরিচালিত একটি নিয়ম সৃষ্টি করে এবং 1950 সালে স্থায়ী নিয়মিত কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান

বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (বিসিডব্লিউও) প্রধান হচ্ছে ডরেন এটেনবার্গ, যিনি 2017 সালে পদভূক্ত হয়েছেন। তিনি পৃথক প্রশাসনিক ও নীতি স্তরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অধিক কর্মকাণ্ড করেছেন। আগামীতে ডরেন এটেনবার্গকে বিসিডব্লিউও-এর প্রধানত্ব পদ অধিভূক্ত থাকতে পারেন। বিসিডব্লিউও-এর পূর্ববর্তী প্রধানগণ এমেরিটাস ডাক্টর মারগারেট চান এবং ডাক্টর টেদ্রোস আদনোম গেবেয়ে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কর্মকাণ্ডকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্পাদক (Director-General of the World Health Organization, DG) নামেও চিহ্নিত করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (বিসিডব্লিউও) প্রধানগণ ডরেন এটেনবার্গ তাদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সংস্থার নীতি, পরিকল্পনা ও প্রকল্প নির্ধারণ করেন এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য মান ও উন্নয়নে পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংস্থার সময়ে সংযোগ রক্ষা ও সমন্বয়ের জন্য ব্যবস্থাপনা করেন।

ডরেন এটেনবার্গ বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য মূল্যায়ন, বিপদজনিত স্বাস্থ্য সংক্রমণের নিরাময় ও উত্থানের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা প্রণীত করেন। তিনি সার্বিক স্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের সময় সমস্যার সমাধানে দৃষ্টিশক্তি দেন এবং বিভিন্ন সংস্থার সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের জন্য কাজ করেন।

ডরেন এটেনবার্গ একজন উদ্ভাবনী নেতা হিসাবে চিহ্নিত হন। তিনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন ও উন্নত উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সাম্প্রতিক সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য সহযোগিতা প্রদান করেন। তিনি স্বাস্থ্য ন্যায় ও সমতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্ষেত্রে পরিচালনা করেন।

ডরেন এটেনবার্গ বিসিডব্লিউও-এর প্রধান হওয়ার আগে তিনি নেদারল্যান্ডস স্বাস্থ্য এবং বাতায়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি স্বাস্থ্য ন্যায়, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্য নীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালনা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) বিভিন্ন কাজ ও প্রকল্পে সংযোজিত থাকে যা স্বাস্থ্য ও সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পরিচালিত হয়। বিসিডব্লিউও এর মূল কাজগুলো নিম্নলিখিত উল্লেখ করা যায়:

  1. স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রতিষ্ঠান পরামর্শ: বিসিডব্লিউও সংস্থা সম্প্রদায়কে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রতিষ্ঠান প্রদান করে যা বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে সহায়তা করে।
  2. প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে নীতি পরামর্শ: বিসিডব্লিউও বিভিন্ন দেশের সরকারগুলিকে স্বাস্থ্য নীতি উন্নয়নের জন্য পরামর্শ দেয় এবং উপযুক্ত নীতি সংগ্রহ ও বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
  3. সহযোগিতামূলক গবেষণা ও উন্নয়ন: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয

়নের জন্য সহযোগিতামূলক প্রকল্প চালায় এবং উপযুক্ত প্রযুক্তি, পদ্ধতি এবং পরামর্শ প্রদান করে।

  1. সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা: বিসিডব্লিউও সংস্থা সম্প্রদায়ের জন্য সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপায় নিয়ে কাজ করে এবং সংঘটিত দেশগুলিকে সহায়তা দেয়।
  2. জরুরি প্রস্তুততা: বিসিডব্লিউও বিপদজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াতে প্রস্তুত হয় এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করে।
  3. স্বাস্থ্যসেবা প্রদান: বিসিডব্লিউও সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে স্বাস্থ্য সেবার মান ও উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করে।

এছাড়াও, বিসিডব্লিউও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বিত কর্মসূচি চালিয়ে থাকে যা বৃহত্তর স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সমাজ ও সরকারের সাথে সহযোগিতা করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) আরও একাধিক কাজ করে যা স্বাস্থ্য ও সম্প্রদায়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো নিম্নলিখিত উল্লেখ করা হলো:

  1. স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল স্বাস্থ্য: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যের বিকাশ ও ব্যবহারে নেতৃস্থান নেয়। তারা ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ই-হেল্থ এবং অনলাইন স্বাস্থ্য প্রদানের উন্নয়ন করে।
  2. জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া: বিসিডব্লিউও জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করে যাত্রায়াতন, পরিবহন, অ্যাকসেস টু পূর্ণসূচি ও সুস্থতার মডেল তৈরি করে যা জরুরি সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  3. মানব স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্তৃ

ক বিশ্বগণিত: বিসিডব্লিউও মানব স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্তৃক বিশ্বগণিত সংগঠন এবং গবেষণা চালায়, যা মানসম্পদ এবং উপসর্গগুলির জন্য নির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে যা মানব স্বাস্থ্যের সুস্থতা, মাতৃত্ব স্বাস্থ্য, শিশুদের স্বাস্থ্য, জীবনকালীন বৈদ্যুতিন স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়।

  1. মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধ: বিসিডব্লিউও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রমোশন, মানসিক ব্যাধির প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। তারা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সমর্থন, সচেতনতা ও সংস্থানিক পরিকল্পনা উন্নয়ন করে যা বিভিন্ন স্তরে ব্যবহৃত হয়।

বিসিডব্লিউও অন্যান্য কার্যক্রমগুলোর সাথে এই কার্যক্রমগুলো মিলিয়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সুস্থতার উন্নয়নে কাজ করে এবং সংগঠিত দেশগুলিকে সাহায্য দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্দেশ্য

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (বিসিডব্লিউও) উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের জন্য সমানমানে উপলব্ধ করা। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো নিম্নলিখিত:

  1. স্বাস্থ্যসেবা সুলভমত উন্নতমানের সমগ্র প্রদান: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের প্রায় সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নতমানের এবং সমগ্রভাবে উপলব্ধ করার চেষ্টা করে। এটি মানবিক অধিকার বিশ্বগণিত স্বাস্থ্যসেবার সমর্থন করে এবং পূর্বানুভব সমাজের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করে।
  2. উচ্চ স্বাস্থ্য মানসম্পদের উন্নয়ন: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্য মানসম্পদের উন্নয়ন করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক দিক থেকে স্বাস্থ্য মানসম্পদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার প্রচেষ্টা গ্রহণ করে।
  3. প্রতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সহায়তা: বিসিডব্লিউও বিভিন্ন দেশের সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, অন্যান্য স্বাস্থ্যসংস্থা ও ব্যক্তিগত অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে জোর দেয়। এটি স্বাস্থ্য পদার্থ, ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক সম্পদ ও শিক্ষাগত সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে উদ্বোধন করে।
  4. জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া: বিসিডব্লিউও জরুরি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য ও পরামর্শ প্রদান করে। এটি জরুরি স্থিতিতে সম্ভবতঃ মানব জীবনকে বাঁচানোর জন্য আনতে সক্ষম হয়।

এছাড়াও, বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্য মানসম্পদের অস্বাভাবিক ও জীবিকায় আঘাত প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করে, এমনকি প্রাকতন এবং নতুনত্ব এবং গবেষণা পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণের মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলির স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পাদন করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) এর আরও কার্যক্রমগুলো নিম্নলিখিত:

  1. স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ইউজার ফ্রেন্ডলি স্বাস্থ্য অ্যাপ্লিকেশন, অনলাইন স্বাস্থ্য সেবা, টেলিমেডিসিন, বিগ ডেটা এবং ইনসিলিকো মেডিসিনে উন্নতি আনা হয়।
  2. জনগণের সচেতনতা ও স্বাস্থ্য প্রচার: বিসিডব্লিউও স্বাস্থ্য প্রচার করে এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনা জাগ্রত করা, জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পরামর্শ ও শিক্ষা প্রদান, জনগণের সমর্থন ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা হয়।
  3. বিপদগ্রস্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা: বিসিডব্লিউও বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলির জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কার্যক্রম চালায়। এটি বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করে এবং জরুরি স্থিতিতে স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া সম্পাদনে জোর দেয়।
  1. পূর্বাভাস ও সুরক্ষা: বিসিডব্লিউও পূর্বাভাস ও সুরক্ষার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি মানবিক পাঠানো সহ্য ও সামরিক স্বাস্থ্যসেবা, বিপদ প্রতিরোধ, পর্যটন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ভ্যাকসিন সুরক্ষা, রোগপ্রতিরোধ ও কর্মসংস্থানে সুরক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পূর্বাভাস ও সুরক্ষা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

এগুলো হলো কিছু প্রধান কার্যক্রম, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালনা করে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রশাসনিক ও তত্ত্বাবধান ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) টিকা এর সম্পর্কে প্রায় বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম চালায়। বিসিডব্লিউও টিকা প্রোগ্রামগুলি অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার, ওয়ার্ল্ড ভ্যাকসিন সংস্থা এবং অন্যান্য সহযোগিতা পান্ডিত দেশগুলিতে সমর্থন করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনগণের সুরক্ষা, সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং পৃথিবীর মধ্যে মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ে সমর্থন করা।

বিসিডব্লিউও টিকা প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে একাধিক সময়ের মধ্যে, যা অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও উদ্দেশ্যে চালায়। এর মধ্যে প্রধান কার্যক্রমগুলো নিম্নলিখিত:

  1. টিকা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন: বিসিডব্লিউও প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করে। এর মাধ্যমে নতুন টিকার তৈরি এবং কার্যকরীতা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও টিকা প্রভাবের মূল্যায়ন এবং টিকা প্রোগ্রামের সম্প্রদায়িকতা বিবেচনা করে নতুন টিকা পরিচালনার নীতিমালা তৈরি করা হয়।
  2. টিকা পরামর্শ ও সহায়তা: বিসিডব্লিউও সমস্ত দেশে টিকা পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে। এটি টিকা দাতাদের ও স্বাস্থ্য সেবাদাতাদের জন্য সঠিক টিকা পরামর্শ এবং সার্বিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও টিকা প্রোগ্রামের সঠিক পরিচালনা ও কার্যক্রমের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
  3. টিকা সরবরাহ এবং সংগ্রহ: বিসিডব্লিউও টিকা সরবরাহ এবং সংগ্রহের জন্য কাজ করে। এটি দেশগুলিকে ভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সহায়তা করে টিকা পরিবেশন ও সরবরাহ করার জন্য। সেইসাথে সুরক্ষিত ভিক্ষুক টিকার সংগ্রহ ও পরিচালনাও বিসিডব্লিউওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।
  1. টিকা সুরক্ষা ও মূল্যায়ন: বিসিডব্লিউও টিকা সুরক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য কাজ করে। এটি টিকা সংক্রান্ত ঘটনা ও সংগঠনের মাধ্যমে টিকা সুরক্ষা পর্যবেক্ষণ করে এবং উপস্থাপনা করে। তাছাড়াও টিকা প্রোগ্রামের পরিণতি এবং টিকা প্রভাবের মূল্যায়ন করে পরিসংখ্যান এবং তথ্যাদি সংগ্রহ করে।
  2. টিকা সংস্থান ও যোগাযোগ: বিসিডব্লিউও সমস্ত স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় টিকা সংস্থান ও যোগাযোগের কার্যক্রম চালায়। এটি সংস্থার সম্প্রদায়িকতা ও সমস্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা স্থাপনে কাজ করে।

বিসিডব্লিউও টিকা প্রোগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় যা মানবিক স্বাস্থ্য এবং প্রজন্মের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহার হয়। এই প্রোগ্রাম পৃথিবীর সমস্ত দেশে সামান্য আপাততা নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবনযাপনের স্বাস্থ্য বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) এর কার্যক্রম সম্পর্কে আরও তথ্য যোগ করা হলঃ

  1. মাতৃত্ব স্বাস্থ্য: বিসিডব্লিউও মাতৃত্ব স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষা জন্য কার্যক্রম চালায়। এটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশগুলিকে মাতৃত্ব স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে। মাতৃত্ব স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এবং পরামর্শ পরিচালনা করে।
  2. করোনা ভাইরাস ও সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা: বিসিডব্লিউও করোনা ভাইরাস (COVID-19) প্রতিরোধ ও সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। এটি করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য, পরামর্শ, নীতি এবং সমর্থন প্রদান করে এবং প্রভাবশালী প্রতিরোধমূলক মানসম্পন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে। বিসিডব্লিউও এছাড়াও করোনা ভাইরাস টিকা প্রোগ্রাম ও ভাইরাসের প্রভাবে আক্রান্ত দেশগুলিকে সহায়তা ও সমর্থন প্রদান করে।
  1. মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোবিজ্ঞান: বিসিডব্লিউও মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোবিজ্ঞানের উন্নয়ন ও সমর্থন করে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলির সহযোগিতা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী দেশগুলিকে উন্নত করার জন্য সহায়তা প্রদান করে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও অনুপ্রাণিত সার্ভিস প্রদানের জন্য কার্যক্রম চালায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বিসিডব্লিউও) এর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম মানবিক স্বাস্থ্য এবং প্রজন্মের সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার সমর্থন করা। এটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সামরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বার্থে কর্ম করে এবং সহযোগিতা প্রদান করে যাতে সমগ্র মানবিক উন্নয়ন সাধ্য হয়।

5/5 - (1 vote)
Sharing Is Caring:

মন্তব্য করুন


Enable Notifications OK No thanks