আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা ব্যাখ্যাসহ

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা ব্যাখ্যাসহ: পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা আল-বাক্বারা ২য় নাম্বার সূরা এবং ২৫৫তম আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি। পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত এটি। এটি সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পরাক্রমশালী শক্তি ঘোষণা করে।

আয়াতুল কুরসি সমস্ত ভিডিও প্লেলিস্ট

  • আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ সহ

  • আয়াতুল কুরসি শিখুন পানির মতো সহজ পদ্ধতিতে !

  • ঘুমানোর জন্য | আয়াতুল কুরসি ৩৩ বার

  • আয়াতুল কুরসীর বিস্ময়কর ফজিলত পাল্টে দিবে আপনার জীবন ইন্সশাল্লাহ

  • পৃথিবীর সেরা কণ্ঠে আয়াতুল কুরসি


  • আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

    পবিত্র হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ফরজ নামাজের পরে, আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে না। (শুআবুল ঈমান – হাদিস নাম্বার: ২৩৯৫)।

    ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এই আমল করা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। আয়াতুল কুরসি আমরা অনেকেই মুখস্থ বলতে পারি। ও যারা পারি না, তারাও মুখস্থ করে নিতে পারেন।

    আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণঃ

    اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-

    আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ:

    আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)।

    আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ: 

    আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কেউ কি আছে? যে তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।


    আয়াতুল কুরসির ফজিলত কি কি

    আবু উমামা (রা.) বলেছেন, নবি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ফরজ নামাজের পরে ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করবে আত্মবিশ্বাসের সাথে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। অর্থাৎ: মরলে জান্নাত। (নাসাঈ কুবরা, হাদিস নাম্বার: ৯৯২৮)।

    উবাই ইবনু কা’ব (রা.) থেকে প্রকাশিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কুরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি তখন বলেছিলাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক অভিজ্ঞ। রাসূলুল্লাহ (সা.) আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কুরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি তখন বললাম, আয়াতুল কুরসি, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম’ । তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (সুনানে আবু দাউদ হাদিস নাম্বার: ১৪৬০)।

    আবু হুরাইরা (রা.) থেকে প্রকাশিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রতিটি বস্তুরই চূড়া আছে। কুরআনের উঁচু চূড়া হলো সূরা আল-বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত আছে যা কুরআনের আয়াতগুলোর প্রধান। তা হলো আয়াতুল কুরসি। (জামে আত-তিরমিজি হাদিস নাম্বার: ২৮৭৮)।

    আবু লায়লা (রা.) থেকে প্রকাশিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট বসে থাকা অবস্থায় এক বেদুইন তাঁর কাছে এসে বলল, আমার এক অসুস্থ ভাই আছে। তিনি বলেন, তোমার ভাই কী রোগে আক্রান্ত? সে বলল, (কোনো কিছুর) কুপ্রভাব। তিনি বলেন, তুমি যাও এবং তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আবু লায়লা (রা.) বলেন, সে গিয়ে তার ভাইকে নিয়ে এলে তিনি তাকে নিজের সামনে বসান।

    আমি শুনতে পেয়েছিলাম, তিনি সূরা ফাতিহা, সূরা বাকারার প্রথম চার আয়াত মধ্যখানের দুই আয়াত (১৬৩-১৬৪ নং আয়াত), আয়াতুল কুরসি (২৫৫ নাম্বার আয়াত) এবং বাকারার শেষ তিন আয়াত (২৮৪-২৮৬ আয়াত) এবং আল ইমরানের একটি আয়াত, আমার মনে হয় তিনি ১৮নং আয়াত পড়েছিলেন এবং সূরা আরাফের এক আয়াত (৫৪ নং আয়াত), সূরা মুমিনুনের এক আয়াত (১১৭নং আয়াত), সূরা জিন-এর এক আয়াত (৩নং আয়াত), সুরা সাফ্ফাত-এর প্রথম দশ আয়াত, সুরা হাশরের শেষ তিন (২২, ২৩ ও ২৪) আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাকে ফুঁ দিলেন। তাতে বেদুইন এমনভাবে সুস্থ হয়ে দাঁড়াল যে, তার কোনো রোগই অবশিষ্ট নেই (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৫৪৯)।

    প্রত্যেকটা বিষয় আবার লক্ষ্য করুন:

    1. আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
    2. আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণঃ
    3. আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ:
    4. আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ: 
    5. আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ সহ ভিডিও
    6. আয়াতুল কুরসি সমস্ত ভিডিও প্লেলিস্ট
    7. আয়াতুল কুরসির ফজিলত কি কি

    ayatul kursi in bengali, ayatul kursi surah 155 quran, ayatul kursi in arabic.

    আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় ?

    ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এই আমলটি করা উচিত.

    আয়াতুল কুরসি আয়াত সংখ্যা কত ?

    পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা আল-বাক্বারা ২য় নাম্বার সূরা এবং ২৫৫তম আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি।

    আয়াতুল কুরসি শব্দের অর্থ কি ?

    পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত এটি। এটি সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পরাক্রমশালী শক্তি ঘোষণা করে।

    4/5 - (4 votes)

    মন্তব্য করুন

    Enable Notifications OK No thanks