ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনী নিয়ে জানুন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষা, দার্শনিক চিন্তা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বে তাদের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। পড়ুন কিভাবে তাদের চিন্তাধারা এবং কাজ আজও ভারতীয় সমাজকে প্রভাবিত করে।
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনী ভিডিও
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনী
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, একজন বিশিষ্ট ভারতীয় দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, এবং রাষ্ট্রনায়ক, যিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্টপতি (1952-1962) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (1962-1967) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাদের জীবন এবং কর্ম ভারতীয় শিক্ষার ক্ষেত্র এবং রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
জন্ম ও পরিবার:
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ সালে তিরুতনি, তামিলনাডু, ভারতে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। তাদের পিতার নাম সর্বপল্লী ভেঙ্কটস্বামী এবং মাতার নাম সীতাদেবী। পারিবারিক দারিদ্র্য সত্ত্বেও, তাদের মায়ের অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় তারা উচ্চ শিক্ষার পথে অগ্রসর হন।
শিক্ষা:
রাধাকৃষ্ণন প্রথমে স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরে, তারা মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে বি.এ. এবং পরবর্তীতে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ভারতীয় দর্শনের প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ ছিল, যা তাদের এক অসাধারণ দার্শনিক হিসেবে গড়ে তুলেছিল।
পেশাগত জীবন
শিক্ষা:
রাধাকৃষ্ণন এক শিক্ষকেরূপে তাদের কর্মজীবন শুরু করেন এবং মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তাদের পণ্ডিতত্ব এবং শিক্ষকতার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা তাদের ভারতের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
লেখা:
তারা “ইন্ডিয়ান ফিলোসফি” এবং “এ স্টাডি অফ প্লেটো” সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাদের লেখা ভারতীয় দর্শনের বৈশ্বিক প্রচারে বিশাল অবদান রেখেছে এবং বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।
রাজনীতি এবং রাষ্ট্রীয় জীবন
উপরাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রপতি:
ডঃ রাধাকৃষ্ণন ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। তাদের নেতৃত্বে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়।
সম্মাননা:
তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ডঃ রাধাকৃষ্ণনকে ভারতরত্ন (১৯৫৪) এবং অন্যান্য অনেক পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তাদের জন্মদিন, ৫ সেপ্টেম্বর, “শিক্ষক দিবস” হিসেবে পালিত হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
বিবাহ ও পরিবার:
রাধাকৃষ্ণনের বিবাহ ১৯০৪ সালে সিভাকাম্ম্যাল মুথাম্মল এর সাথে হয়। তাদের দুই কন্যা এবং এক পুত্র ছিল। তাদের পরিবারের সমর্থন তাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ১৭ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে পরলোক গমন করেন। তাদের শিক্ষা, দর্শন এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের অবদান আজও ভারতীয় সমাজে এবং বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণার উৎস। তাদের জীবন এবং কর্ম শিখিয়ে দেয় যে, বিদ্যা এবং মানবিকতা সৃষ্টির মূলমন্ত্র।
উপসংহার
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবন ও কর্ম ভারতের শিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় একটি অনন্য উচ্চতা অর্জন করেছে। তাদের দার্শনিক চিন্তা, রাষ্ট্রনায়কত্ব, এবং শিক্ষা নিয়ে অবদান আজও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
-
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন এবং জন্মস্থান কি?
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ সালে তিরুতনি, তামিলনাডু, ভারতে।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপন করেন?
ডঃ রাধাকৃষ্ণন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপন করেছেন।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণন কোন কোন পদে কাজ করেছেন?
ডঃ রাধাকৃষ্ণন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৯৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (১৯৬২-১৯৬৭) ছিলেন।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের লেখার মধ্যে কোন বইগুলি উল্লেখযোগ্য?
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের উল্লেখযোগ্য বইগুলির মধ্যে “ইন্ডিয়ান ফিলোসফি” এবং “এ স্টাডি অফ প্লেটো” অন্তর্ভুক্ত।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণনকে কোন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে?
ডঃ রাধাকৃষ্ণনকে ভারতরত্ন (১৯৫৪) সহ বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের বিবাহ সিভাকাম্ম্যাল মুথাম্মল এর সাথে হয়েছিল। তাদের দুই কন্যা এবং এক পুত্র ছিল।
-
ডঃ রাধাকৃষ্ণনের মৃত্যু কবে হয়?
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মৃত্যু ১৭ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে হয়।