ছেলেটির কুরআনের উপহার।

✅ বিশেষজ্ঞ দ্বারা অনুমোদিত
5/5 - (1 vote)

একজন দরিদ্র বাবা। প্রতিদিন চোখে স্বপ্ন, কিন্তু হাতে কিছুই নেই। দারিদ্র্যের কারণে তার প্রিয় ছেলেটিকে স্কুলে পাঠাতে পারছিলেন না। ছেলেটির মন পড়াশোনার জন্য ছটফট করত।

সে প্রতিদিন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে দেখত, তার বয়সী শিশুরা স্কুল থেকে এসে মাদ্রাসায় পড়ছে, কেউ কেউ কুরআন তেলাওয়াত করছে। সে চোখ বড় বড় করে শুনত, তার হৃদয় ভরে যেত প্রশান্তিতে।

একদিন, ইমাম সাহেব ছেলেটিকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন:
“তুমি কেন প্রতিদিন এখানে দাঁড়িয়ে থাকো?”

ছেলেটি মাথা নিচু করে উত্তর দিল,
“আমি কেবল কুরআন শুনি… আমার কাছে এটাই আমার স্কুল।”

এই কথায় ইমাম সাহেব স্তব্ধ হয়ে গেলেন। তার চোখ ভরে এল জলেমাখা শ্রদ্ধায়। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এই নিষ্পাপ আগ্রহের মূল্য তিনি দেবেন।

তিনি ছেলেটিকে প্রতিদিন মসজিদে এসে কুরআন শেখার অনুমতি দিলেন।
শিক্ষার আলো জ্বলে উঠল এক ঝলকে।

মাত্র এক মাসেই, ছেলেটি সুরা ইয়াসিন পুরোপুরি মুখস্থ করে ফেলল। শুধু মুখস্থই নয়, তার কণ্ঠে ছিল অনুভূতির কম্পন, হৃদয়ের আলো।


একটি সুযোগ কখনো কখনো পুরো জীবন বদলে দেয়

জান্নাতের পথে যাত্রা সবসময় বড় দান বা অর্থ দিয়ে হয় না। কখনো কখনো, একটি সুযোগ, একটি মমতার হাত, একটি শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টি, সেটাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় ইবাদত।

বছর পেরিয়ে গেল…
সেই দরিদ্র ছেলেটি একদিন হয়ে উঠল সমগ্র গ্রামের কুরআন শিক্ষক।
তার কণ্ঠে কুরআনের তেলাওয়াতে এখন শত শত শিশুরা শিক্ষালাভ করে।

শেষ কথা

এই কাহিনি কেবল একজন শিশুর নয়—এটি আমাদের প্রত্যেকের চোখে স্বপ্ন জাগায়। একটুখানি সহানুভূতি, একটুখানি সুযোগ—তাতেই বদলে যেতে পারে একটি জীবন।

যেখানে হৃদয়ে থাকে কুরআনের আলো, সেখানেই সৃষ্টি হয় সভ্যতা।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

ছেলেটি কুরআন শেখার সুযোগ কীভাবে পেল?

ছেলেটি প্রতিদিন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে শিশুদের পড়তে দেখতো এবং কুরআন শুনতো। একদিন ইমাম সাহেব তার আগ্রহ দেখে তাকে মসজিদে কুরআন শেখার অনুমতি দেন।

এই গল্পের মূল বার্তা কী?

গল্পটি বোঝায় যে ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় এবং একজন অভিভাবকের সহানুভূতি থাকলে জ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব—even সামান্য একটি সুযোগ থেকেও।

ছেলেটি শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল?

ছেলেটি কুরআন মুখস্থ করে পরে গ্রামের একজন সম্মানিত কুরআন শিক্ষক হয়ে ওঠে।

কুরআনের শিক্ষার গুরুত্ব কী?

কুরআনের শিক্ষা একজন মানুষের জীবনকে আলোকিত করে এবং তাকে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করে।

দরিদ্রতা কি শিক্ষার পথে বাধা?

না, এই গল্পে আমরা দেখি যে প্রকৃত ইচ্ছা এবং সহানুভূতির মাধ্যমে দরিদ্রতা কাটিয়ে শিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

Your comment will appear immediately after submission.

মন্তব্য করুন