মোহাম্মদ হারিসের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি এবং বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সহজ জয়
এশিয়া কাপের চতুর্থ ম্যাচে ওমানকে ৯৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ওমান মাত্র ১৬.৪ ওভারে ৬৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
টসে জিতে পাকিস্তান ব্যাটিং করা সিদ্ধান্ত নেন।পাকিস্তানের হয়ে ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ৪৩ বলে ৬৬ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর দ্রুত বাড়তে থাকে। এছাড়া ফখর জামান অপরাজিত ২৩ এবং সাহেবজাদা ফারহান ২৯ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
পাকিস্তানের ব্যাটিং স্কোরকার্ড
ব্যাটসম্যান | রান | বল | ৪s | ৬s | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
সাহেবজাদা ফারহান | ২৯ | ২৯ | ১ | ০ | ১০০.০০ | c and b আমির কালিম |
সাইম আইয়ুব | ০ | ১ | ০ | ০ | ০.০০ | lbw b শাহ ফয়সাল |
মোহাম্মদ হারিস (WK) | ৬৬ | ৪৩ | ৭ | ৩ | ১৫৩.৪৯ | b আমির কালিম |
ফখর জামান | ২৩ | ১৬ | ২ | ০ | ১৪৩.৭৫ | অপরাজিত |
সালমান আগা (C) | ০ | ১ | ০ | ০ | ০.০০ | c হাম্মাদ মির্জা b আমির কালিম |
হাসান নওয়াজ | ৯ | ১৫ | ০ | ০ | ৬০.০০ | c হাসনাইন শাহ b শাহ ফয়সাল |
মোহাম্মদ নওয়াজ | ১৯ | ১০ | ৪ | ০ | ১৯০.০০ | c (সাব) জিতিন রামানন্দী b শাহ ফয়সাল |
ফাহিম আশরাফ | ৮ | ৪ | ১ | ০ | ২০০.০০ | c জিকরিয়া ইসলাম b মোহাম্মদ নাদিম |
শাহীন আফ্রিদি | ২* | ১ | ০ | ০ | ২০০.০০ | অপরাজিত |
ওমানের বোলিং
ওমানের হয়ে আমির কালিম এবং শাহ ফয়সাল দুজনেই ৩টি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে কিছুটা চাপ তৈরি করেন।
ওমানের বোলিং স্কোরকার্ড
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
শাহ ফয়সাল | ৪ | ০ | ৩৪ | ৩ | ৮.৫০ |
শাকিল আহমেদ | ৪ | ০ | ১৭ | ০ | ৪.২৫ |
মোহাম্মদ নাদিম | ৩ | ০ | ২৩ | ১ | ৭.৬৭ |
আমির কালিম | ৪ | ০ | ৩১ | ৩ | ৭.৭৫ |
সামাই শ্রীবাস্তব | ১ | ০ | ১২ | ০ | ১২.০০ |
হাসনাইন শাহ | ৩ | ০ | ৩১ | ০ | ১০.৩৩ |
সুফিয়ান মেহমুদ | ১ | ০ | ১২ | ০ | ১২.০০ |
ওমানের ব্যাটিং পারফরম্যান্স
১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওমান শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। দলের হয়ে একমাত্র হাম্মাদ মির্জা ২৭ এবং আমির কালিম ১৩ রান করতে সক্ষম হন। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের সামনে ওমানের কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি।
ওমানের ব্যাটিং স্কোরকার্ড
ব্যাটসম্যান | রান | বল | ৪s | ৬s | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
আমির কালিম | ১৩ | ১১ | ১ | ১ | ১১৮.১৮ | lbw b সাইম আইয়ুব |
যতিন্দর সিং (C) | ১ | ৩ | ০ | ০ | ৩৩.৩৩ | b সাইম আইয়ুব |
হাম্মাদ মির্জা | ২৭ | ২৩ | ৩ | ১ | ১১৭.৩৯ | c সালমান আগা b সুফিয়ান মুকিম |
মোহাম্মদ নাদিম | ৩ | ৭ | ০ | ০ | ৪২.৮৬ | c আবরার আহমেদ b সুফিয়ান মুকিম |
সুফিয়ান মেহমুদ | ১ | ৫ | ০ | ০ | ২০.০০ | c হাসান নওয়াজ b মোহাম্মদ নওয়াজ |
বিনায়ক শুক্লা (WK) | ২ | ৪ | ০ | ০ | ৫০.০০ | রান আউট (শাহীন আফ্রিদি) |
জিক্রিয়া ইসলাম | ০ | ৮ | ০ | ০ | ০.০০ | c মোহাম্মদ হারিস b ফাহিম আশরাফ |
শাহ ফয়সাল | ১ | ৩ | ০ | ০ | ৩৩.৩৩ | b শাহীন আফ্রিদি |
শাকিল আহমেদ | ১০ | ২৩ | ০ | ১ | ৪৩.৪৮ | c শাহীন আফ্রিদি b আবরার আহমেদ |
হাসনাইন শাহ | ১ | ২ | ০ | ০ | ৫০.০০ | b ফাহিম আশরাফ |
সামাই শ্রীবাস্তব | ৫* | ১১ | ১ | ০ | ৪৫.৪৫ | অপরাজিত |
পাকিস্তানের বোলিং
পাকিস্তানের বোলাররা এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। সাইম আইয়ুব, সুফিয়ান মুকিম এবং ফাহিম আশরাফ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়ে ওমানের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন।
পাকিস্তানের বোলিং স্কোরকার্ড
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
শাহীন আফ্রিদি | ৪ | ০ | ২০ | ১ | ৫.০০ |
সাইম আইয়ুব | ২ | ০ | ৮ | ২ | ৪.০০ |
আবরার আহমেদ | ৩.৪ | ১ | ১২ | ১ | ৩.২৩ |
মোহাম্মদ নওয়াজ | ২ | ০ | ১৩ | ১ | ৬.৫০ |
সুফিয়ান মুকিম | ৩ | ০ | ৭ | ২ | ২.৩৩ |
ফাহিম আশরাফ | ২ | ০ | ৬ | ২ | ৩.০০ |
ম্যাচের ফলাফল ও তাৎপর্য
এই বিশাল জয় পাকিস্তানকে টুর্নামেন্টে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ওমানের জন্য এটি ছিল একটি কঠিন পরাজয়, যা তাদের টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
পাকিস্তান কত রানে জয় লাভ করেছে?
পাকিস্তান ৯৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেছে।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান কে করেছেন?
মোহাম্মদ হারিস ৬৬ রান করে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন।
এই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ অ্যাওয়ার্ড কে পেয়েছিল?
মোহাম্মদ হারিস তার দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।
কোন বোলার সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন?
ওমানের আমির কালিম এবং শাহ ফয়সাল দুজনেই ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন।
এই ম্যাচটি কোন স্টেডিয়ামে ও কোন দেশে খেলা হয়েছিল?
এই ম্যাচটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল।
Your comment will appear immediately after submission.