ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এশিয়া কাপের জন্য ভারতের ১৫ সদস্যের দল ঘোষিত হয়েছে। এই স্কোয়াডটি তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের এক দারুণ সংমিশ্রণ। দলের নেতৃত্বে থাকছেন সূর্যকুমার যাদব, যিনি তার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্বগুণ দিয়ে দলকে সামনে থেকে পরিচালনা করবেন। তার সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন শুভমান গিল, যার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে এনে দিয়েছে।
তারুণ্যের জয় ও ব্যাটিংয়ের গভীরতা
দলে তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে রয়েছেন বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার। ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। মিডল অর্ডারে তিলক বর্মা এবং ফিনিশার হিসেবে রিঙ্কু সিংহ তাদের জায়গা ধরে রেখেছেন, যা প্রমাণ করে নির্বাচকরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এই দল গঠন করেছেন। উইকেটকিপার হিসেবে সঞ্জু স্যামসন এবং জিতেশ শর্মা থাকছেন, যারা তাদের ব্যাটিং এবং গ্লাভসের কারিশমা দিয়ে দলের শক্তি বাড়াবেন।
অভিজ্ঞতার শক্তি ও বোলিংয়ের ধার
দলের অভিজ্ঞতার ভার সামলাবেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং শিবম দুবে। তারা ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রেই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ, যিনি ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে এসেছেন। তার সঙ্গে পেস আক্রমণে রয়েছেন উদীয়মান হার্শিত রানা এবং তার সঙ্গে পেস আক্রমণে রয়েছেন আর্শদীপ সিং। স্পিন বিভাগে কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী আর অক্ষর প্যাটেল-কে বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিচে স্পিনারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে, এবারের ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। তরুণদের নির্ভীক মনোভাব এবং অভিজ্ঞদের ঠান্ডা মাথার খেলা যদি একসাথে চলতে থাকে, তবে এশিয়া কাপে ভারতের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল। এই দলটি কি পারবে শিরোপা জিতে নিতে?
Your comment will appear after author approval.