আন্দ্রে ডোয়াইন রাসেল যিনি এখন আন্দ্রে রাসেল নামে পরিচিত ১৯৮৮ সালের ২৯ এপ্রিল জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মাইকেল রাসেল যিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি বা নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন, এবং তাঁর মা স্যান্ড্রা ডেভিস যিনি ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার , তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে তিনি বড় হয়েছেন। রাসেলকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিকে প্রথম এগিয়ে নিয়ে যান তাঁর মা স্যান্ড্রা ডেভিস এবং স্থানীয় কোচেরা। ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেওয়ার আগে তিনি তাঁর মায়ের কাছে দুই বছরের সময় চেয়েছিলেন। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে এই সময়ের মধ্যে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে খেলা ছেড়ে অন্য পেশায় মনোনিবেশ করবেন। এই দুই বছর তাঁর ক্রিকেট জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে।
আন্দ্রে রাসেল আইপিএল পরিসংখ্যা
আইপিএল ব্যাটিং পরিসংখ্যা
| ম্যাচ | ১৪০ |
|---|---|
| ইনিংস | ১১৫ |
| রান | ২,৬৫১ |
| সর্বোচ্চ স্কোর | ৮৮ |
| গড় | ২৮.২০ |
| স্ট্রাইক রেট | ১৭৪.১৮ |
| সেঞ্চুরি | ০ |
| হাফ-সেঞ্চুরি | ১২ |
| চার | ১৮৬ |
| ছয় | ২২৩ |
আইপিএল বোলিং পরিসংখ্যা
| ম্যাচ | ১৪০ |
|---|---|
| ইনিংস | ১২১ |
| উইকেট | ১২৩ |
| সেরা বোলিং | ৫ উইকেট ১৫ রান |
| গড় | ২৩.২৮ |
| ইকোনমি রেট | ৯.৫১ |
| ৪ উইকেট | ২ |
| ৫ উইকেট | ১ |
আইপিএল ক্যারিয়ারের
আন্দ্রে রাসেলের আইপিএল কেরিয়ারের শুরু হয় ২০১২ সালে, যখন তাঁকে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নিলামে ₹২২ লাখ ৬২ হাজার টাকা দিয়ে কেনে।
২০১২ সালে: এই সিজনে তিনি ৪টি ম্যাচে ১৬ রান করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯ রান করেন যা তিনি পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০১৩ সাল: দিল্লি তাঁকে ₹২৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ৩টি ম্যাচে ব্যাট করে ১৮ রান করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৫ রান করেন যা তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০১৪ সালে দিল্লি তাঁকে রিলিজ করে দেয়, এবং সেই বছরের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাঁকে ₹৬০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
২০১৪ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর হয়ে প্রথম সিজনে তিনি মাত্র ২টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩৩ রান করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৭ রান করেন যা তিনি পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০১৫ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৬০ লাখ টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৩টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩২৬ রান করেন এবং বল হাতে ১৪ উইকেট নেন এবং এই সিজনে তিনি ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৩ বলে ৬৬ রান করেন যা তিনি পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন এবং তিনি এই সিজনে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় – এমভিপি (Most Valuable Player – MVP)।
২০১৬ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৬০ লাখ টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১২টি ম্যাচে ব্যাট করে ১৮৮ রান করেন এবং বল হাতে ১৫ উইকেট নেন। এই সিজনে তিনি ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ২১ বলে ৫১ রান করেন যা তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০১৭ সাল: ডোপিং নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি এই সিজন খেলতে পারেননি। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৬০ লাখ টাকায় রিটেন করে রেখেছিল।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৭ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে।
২০১৮ সাল: এই সিজনে তিনি ১৬টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩১৬ রান করেন এবং বল হাতে ১৩ উইকেট নেন।১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ৩৬ বলে ৮৮ রান করেন এবং এটি তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান যা তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০১৯ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৭ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৪টি ম্যাচে ব্যাট করে ৫১০ রান করেন এবং বল হাতে ১১ উইকেট নেন। এই সিজনে তিনি ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ৪০ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেন যা তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে করেছিলেন এবং তিনি এই সিজনে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় – এমভিপি (Most Valuable Player – MVP)।
২০২০ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৭ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১০টি ম্যাচে ব্যাট করে ১১৭ রান করেছিলেন এবং বল হাতে ৬ উইকেট নেন। এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৪ বলে ২৪ রান যা তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০২১ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹৭ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১০টি ম্যাচে ব্যাট করে ১৮৩ রান করেন এবং বল হাতে ১১ উইকেট নেন। এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ১৯ বলে ৪৫ রান যা তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০২২ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹১২ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৪টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩৩৫ রান করেন এবং বল হাতে ১৭ উইকেট নেন। এই সিজনে তিনি কোনো সেঞ্চুরি করেননি, তবে ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ৩১ বলে ৭০ রান যা তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০২৩ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹১২ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৪টি ম্যাচে ব্যাট করে ২২৭ রান করেন এবং বল হাতে ৭ উইকেট নেন। এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল মাত্র ২৩ বলে ৪২ রান যা তিনি পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০২৪ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹১২ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৫টি ম্যাচে ব্যাট করে ২২৬ রান করেন এবং বল হাতে ১৯ উইকেট নেন। এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৫ বলে ৪৫ রান যা তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে করেছিলেন।
২০২৫ সাল: কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ₹১২ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে। এই সিজনে তিনি ১৩টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩৮০ রান করেন এবং বল হাতে ১৫ উইকেট নেন। ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং এই সিজনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৮ বলে ৭৮ রান যা তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে করেছিলেন।
আইপিএল-এর একজন কিংবদন্তী অলরাউন্ডার হিসেবে ২০২৫ সালের সিজনের পরে, আন্দ্রে রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট থেকে অবসর (সন্ন্যাস) ঘোষণা করেন। তাঁর এই ঘোষণার পরে, ২০২৬ সালের মিনি নিলামের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাঁকে রিলিজ করে দেয়। বর্তমানে, তিনি KKR টিমের সাথে যুক্ত আছেন এবং পাওয়ার কোচ হেল্পার হিসাবে নতুন ভূমিকা নিয়েছেন, যেখানে তিনি টিমের নতুন প্রজন্মকে ফিনিশিং ও শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের কৌশল শেখানোর কাজে সহায়তা করেন।
You’re so awesome! I don’t believe I have read a single thing like that before. Really.. This website is something that is needed on the internet, someone with a little originality! <a href=" evden eve nakliyat firmaları
I really like reading through a post that can make men and women think. Also, thank you for allowing me to comment! <a href=" evden eve taşımacılık
I’m often to blogging and i really appreciate your content. The article has actually peaks my interest. I’m going to bookmark your web site and maintain checking for brand spanking new information. <a href=" nakliyat
Antalya ikinci El Eşya
Antalya ikinci El Eşya
İstanbul Nakliyat
İstanbul Nakliyat
FUGU.TR: Jartiyer Takımları, Fantezi İç Giyim & İç Giyim Setleri