মহানবী সাঃ এর জীবনী

মহানবী সাঃ এর জীবনী | মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী: মুহাম্মাদ সাম্প্রতিক সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। প্রচলিত অনুমান মতে, উনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট বা আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে ৫৭০ সাল উল্লেখ করেছেন; কিন্তু খাঁটি তারিখ উদ্‌ঘাটন সম্ভব হয়নি।

×

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলামের প্রধান প্রবর্তক এবং মুসলিমদের প্রধান আদর্শ। তার জীবনী ইসলামী ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অংশ। তার জীবনের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি পদক্ষেপ মুসলিম সমাজের জীবনযাত্রায় অবিস্মরণীয় প্রভাব ফেলেছে। তিনি মানবিকতা, দয়া, সহিষ্ণুতা এবং সত্যের পক্ষে লড়াইয়ে সর্বাধিক পরিচিত।

মহানবী সাঃ শিশুবাল্য:

মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা শহরে একটি আরব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল্লাহ, যে কয়েনাতের সেরা মহিলা হয়ে উঠেছিলেন, মৃত্যু হয়ে যান তার জন্য যতিবাদী অবস্থানে। মাদিনা নামক একটি সমৃদ্ধ বন্ধু কানেয়া মন্না তার আত্মীয়তা দেখে প্রয়াত প্রেরণ দেন। আব্দুল্লাহের মৃত্যুর পর তার মা আমিনা তাকে শিক্ষা দান করেন। মুহাম্মদ (সাঃ) এর শৈশব বেশ সাধারণ ছিল, তবে তার স্বভাবের মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সত্যবাদী এবং দয়ালু হওয়া।

মহানবী সাঃ প্রেমের জীবন:

মুহাম্মদ (সাঃ) যৌনিক বিবাহের প্রথম অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি একদিন এক বিপরীত বয়স্ক মহিলার সঙ্গে বিবাহ হলেন, যার নাম খদিজার ছিল। তারা একসাথে আবাস করেন এবং খদিজার মুহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখেন।

মহানবী সাঃ নবী হয়ে উঠমেঃ

মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স চলেছিল পঁচিশ বছর, যখন তিনি মাক্কায় একটি আলোকিত গুহায় ভাবসম্পন্ন হন। এই ঘটনাটি পরবর্তীতে ইসলামী ধর্মের উদ্ভবের প্রারম্ভিক ঘটনা হিসাবে পরিচিত। সেই সাময়িক প্রথম সন্দেহভাজন ঘটনা মুহাম্মদ (সাঃ) এর মানবিকতা, মহান মর্যাদা এবং সত্যের পক্ষে লড়াই কাটাতে সাহায্য করে।

মহানবী সাঃ রাজনৈতিক এবং দর্শনীয় পক্ষ:

মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রথম প্রেক্ষিতে তার অপ্রতিহত চরিত্রের সাথে তার নেতৃত্বের ক্ষমতা যুক্তি সম্মত করে এবং সাম্রাজ্যিক পদ অধিকার গ্রহণের প্রেরণা দেয় না। তিনি সবসময় মানবিকতার ওপর ভর দেন, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং প্রেমের শৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

মহানবী সাঃ মৃত্যু:

মুহাম্মদ (সাঃ) এর শেষ দিনগুলি অত্যন্ত দুঃখজনক ছিল। তিনি ত্রিপুরুশ হওয়ার পর তিনি একটি বক্তব্য প্রকাশ করেন, “উম্মাতের মধ্যে যে কেউ আমার প্রতি আক্রোশ বা অনৈতিক কাজ করে তাকে আমি বিপদে পড়তে দেখতে চাই না। আমি ইচ্ছা করি আল্লাহ তারা আমার সাথে দেখে তা করবেন না।” এই বক্তব্য মুহাম্মদ (সাঃ) এর মহানতম মহলের একটি উদাহরণ প্রদর্শন করে।

মহানবী সাঃ সংক্ষিপ্তত:

মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলামের প্রধান প্রবর্তক, একজন প্রেমপূর্ণ সহযোগী, বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় প্রেক্ষিতে দয়ালু হিসেবে মানযোগ প্রাপ্ত। তার জীবনের প্রতিটি দিক হাতে নিয়ে বিশুদ্ধ শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় আদর্শের উদাহরণ স্থাপন করেছিল। তার শিক্ষামূলক ও দর্শনীয় বোধগম্য জীবনচরিত্র ইসলামের উজ্জ্বল অংশ হিসাবে পরিচিত।

5/5 - (1 vote)

মন্তব্য করুন

Enable Notifications OK No thanks