২০২৩-২০২৫ চক্রের আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১ থেকে ১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত, ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। টেম্বা বাভুমা-র নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে টেস্ট ক্রিকেটে তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্ব শিরোপা জয় করে। এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার ২৭ বছরের আইসিসি শিরোপার খরা কাটায়। ম্যাচটি চার দিনের মধ্যেই শেষ হয়।
টস ও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস: রাবাদার দাপট
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের প্রধান বোলার কাগিসো রাবাদা (৫/৫১)-র বিধ্বংসী সুইং বোলিংয়ের সামনে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ চরম সংকটে পড়ে। অভিষেক টেস্ট খেলা বিউ ওয়েবস্টার (৭২)-এর লড়াকু ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া কোনোমতে প্রথম ইনিংসে ২১২ রান সংগ্রহ করে।
অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং স্কোরকার্ড (প্রথম ইনিংস)
ব্যাটার | রান | বল | ৪ | ৬ | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
উসমান খোয়াজা | ৮ | ১৫ | ১ | ০ | ৫৩.৩৩ | c বাভুমা b জানসেন |
ডেভিড ওয়ার্নার | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১০০.০০ | c মার্করাম b রাবাদা |
মার্নাস লাবুশেন | ২৯ | ৬৭ | ৪ | ০ | ৪৩.২৬ | c বেডিংহাম b জানসেন |
স্টিভ স্মিথ | ৭ | ১৪ | ১ | ০ | ৫০.০০ | b রাবাদা |
ট্রাভিস হেড | ৪ | ৮ | ১ | ০ | ৫০.০০ | c মার্করাম b রাবাদা |
বিউ ওয়েবস্টার | ৭২ | ৯২ | ১০ | ১ | ৭৮.২৬ | b মহারাজ |
অ্যালেক্স ক্যারি (WK) | ৪১ | ৭৩ | ৭ | ০ | ৫৬.১৬ | b জানসেন |
মিচেল স্টার্ক | ৪ | ৬ | ১ | ০ | ৬৬.৬৬ | c বাভুমা b রাবাদা |
প্যাট কামিন্স (C) | ১৫ | ২৯ | ২ | ০ | ৫১.৭২ | b মার্করাম |
জশ হ্যাজলউড | ১১ | ২৫ | ২ | ০ | ৪৪.০০ | not out |
নাথান লায়ন | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১০০.০০ | b রাবাদা |
- অতিরিক্ত রান: ১৫ (লেগ বাই ৮, ওয়াইড ৫, নো বল ২)
- মোট: ২১২ রান (১০ উইকেট, ৫৬.৪ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং স্কোরকার্ড (প্রথম ইনিংস)
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
কাগিসো রাবাদা | ১৫.৪ | ৫ | ৫১ | ৫ | ৩.২৫ |
মার্কো জানসেন | ১৫ | ৫ | ৪৯ | ৩ | ৩.২৫ |
লুঙ্গি এনগিদি | ৮ | ০ | ৪৫ | ০ | ৫.৬২ |
ওয়েন মুল্ডার | ১১ | ৩ | ৩৬ | ০ | ৩.২৭ |
কেশব মহারাজ | ৬ | ০ | ১৯ | ১ | ৩.১৬ |
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস: কামিন্সের পাল্টা আঘাত
অস্ট্রেলিয়ার ২১২ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ধসিয়ে দেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (৬/২৮)। লর্ডসের সুইং-সহায়ক পিচে তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডেভিড বেডিংহামের (৪৫) কিছুটা প্রতিরোধ সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় এবং অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং স্কোরকার্ড (প্রথম ইনিংস)
ব্যাটার | রান | বল | ৪ | ৬ | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
এইডেন মার্করাম | ৬ | ২৫ | ০ | ০ | ২৪.০০ | c স্মিথ b স্টার্ক |
রায়ান রিকেলটন | ৫ | ১২ | ১ | ০ | ৪১.৬৬ | c ক্যারি b হ্যাজলউড |
থিউনিস ডি ব্রুইন | ১১ | ১৯ | ২ | ০ | ৫৭.৮৯ | lbw b স্টার্ক |
ডেভিড বেডিংহাম | ৪৫ | ১১১ | ৪ | ০ | ৪০.৫৪ | lbw b কামিন্স |
টেম্বা বাভুমা (C) | ৭ | ৩৬ | ০ | ০ | ১৯.৪৪ | c খোয়াজা b কামিন্স |
ওয়েন মুল্ডার | ২ | ৫ | ০ | ০ | ৪০.০০ | c ক্যারি b কামিন্স |
ট্রিস্টান স্টাবস | ৯ | ৩১ | ১ | ০ | ২৯.০৩ | c ক্যারি b লায়ন |
কাইল ভেরেইন (WK) | ২১ | ৪৩ | ৩ | ০ | ৪৮.৮৩ | c হেড b কামিন্স |
মার্কো জানসেন | ৩ | ১৩ | ০ | ০ | ২৩.০৭ | c স্মিথ b কামিন্স |
কাগিসো রাবাদা | ৪ | ৬ | ১ | ০ | ৬৬.৬৬ | not out |
কেশভ মহারাজ | ৮ | ১৫ | ১ | ০ | ৫৩.৩৩ | b কামিন্স |
- অতিরিক্ত রান: ১৭ (লেগ বাই ৮, ওয়াইড ২, নো বল ৭)
- মোট: ১৩৮ রান 9১০ উইকেট, ৫৭.১ ওভার0
অস্ট্রেলিয়া বোলিং স্কোরকার্ড (প্রথম ইনিংস)
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
প্যাট কামিন্স (C) | ১৮.১ | ৫ | ২৮ | ৬ | ১.৫৪ |
মিচেল স্টার্ক | ১৬ | ৫ | ৪২ | ২ | ২.৬২ |
জশ হ্যাজলউড | ১৩ | ৪ | ৩৩ | ১ | ২.৫৩ |
নাথান লায়ন | ৮ | ১ | ২৬ | ১ | ৩.২৫ |
বিউ ওয়েবস্টার | ২ | ০ | ৩ | ০ | ১.৫০ |
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস: স্টার্কের লড়াই
প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে। অভিজ্ঞ মিচেল স্টার্ক (৫৮*) লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে লড়ে যান। স্টার্ক এবং অ্যালেক্স ক্যারি (৬৬)-র জুটির প্রতিরোধ সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানে অলআউট হয়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড়ায়।
অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং স্কোরকার্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)
ব্যাটার | রান | বল | ৪ | ৬ | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
উসমান খোয়াজা | ০ | ৩ | ০ | ০ | ০.০০ | c রিকেলটন b জানসেন |
ডেভিড ওয়ার্নার | ৬ | ২০ | ০ | ০ | ৩০.০০ | b রাবাদা |
মার্নাস লাবুশেন | ১০ | ৩০ | ১ | ০ | ৩৩.৩৩ | c ভেরেইন b জানসেন |
স্টিভ স্মিথ | ৭৯ | ১৪২ | ১১ | ০ | ৫৫.৬৩ | c রিকেলটন b রাবাদা |
ট্রাভিস হেড | ৫ | ৬ | ১ | ০ | ৮৩.৩৩ | c ভেরেইন b জানসেন |
বিউ ওয়েবস্টার | ৯ | ১৯ | ২ | ০ | ৪৭.৩৭ | b রাবাদা |
অ্যালেক্স ক্যারি (WK) | ৬৬ | ৯৫ | ৯ | ০ | ৬৯.৪৭ | b মুল্ডার |
মিচেল স্টার্ক | ৫৮* | ১৩৬ | ৭ | ০ | ৪২.৬৪ | অপরাজিত |
প্যাট কামিন্স (C) | ১৬ | ৩১ | ৩ | ০ | ৫১.৬১ | c স্টাবস b রাবাদা |
জশ হ্যাজলউড | ৫ | ১২ | ০ | ০ | ৪১.৬৬ | b মহারাজ |
নাথান লায়ন | ৪ | ৮ | ১ | ০ | ৫০.০০ | c ভেরেইন b রাবাদা |
- অতিরিক্ত রান: ১০ (লেগ বাই ৪, ওয়াইড ৪, নো বল ২)
- মোট: ২০৭ রান (১০ উইকেট, ৬৫ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং স্কোরকার্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
কাগিসো রাবাদা | ১৮ | ৪ | ৫৯ | ৪ | ৩.২৮ |
মার্কো জানসেন | ১২ | ২ | ৫২ | ৩ | ৪.৩৩ |
লুঙ্গি এনগিদি | ১০ | ১ | ৩৫ | ০ | ৩.৫০ |
ওয়েন মুল্ডার | ১২ | ৩ | ৪৩ | ১ | ৩.৫৮ |
কেশব মহারাজ | ১৩ | ৩ | ১৮ | ২ | ১.৩৮ |
দক্ষিণ আফ্রিকার শিরোপা জয়: মার্করামের মাস্টারক্লাস
২৮২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ দিনের শুরুতেই ৪ উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে যায়। কিন্তু ওপেনার এইডেন মার্করাম (১৩৬) এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৬৬*)-র ঐতিহাসিক পার্টনারশিপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের পথে নিয়ে আসে। এইডেন মার্করামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং বাভুমার দৃঢ়তা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৮৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে জয় এনে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং স্কোরকার্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)
ব্যাটার | রান | বল | ৪ | ৬ | স্ট্রাইক রেট | আউটের ধরণ |
রায়ান রিকেলটন | ৫ | ২০ | ০ | ০ | ২৫.০০ | c স্মিথ b স্টার্ক |
এইডেন মার্করাম | ১৩৬ | ২০৭ | ১৯ | ০ | ৬৫.৬৯ | c ক্যারি b হ্যাজলউড |
থিউনিস ডি ব্রুইন | ৭ | ৯ | ১ | ০ | ৭৭.৭৭ | lbw b স্টার্ক |
ট্রিস্টান স্টাবস | ০ | ২ | ০ | ০ | ০.০০ | b স্টার্ক |
টেম্বা বাভুমা (C) | ৬৬* | ১২১ | ৭ | ১ | ৫৪.৫৪ | অপরাজিত |
ডেভিড বেডিংহাম | ১৭ | ৪৪ | ২ | ০ | ৩৮.৬৩ | c খোয়াজা b হ্যাজলউড |
কাইল ভেরেইন (WK) | ১৭* | ২১ | ৩ | ০ | ৮১.০০ | অপরাজিত |
- অতিরিক্ত রান: ৩৪ (বাই ৮, লেগ বাই ১০, ওয়াইড ৯, নো বল ৭)
- মোট: ২৮২ রান (৫ উইকেট, ৮৩.৪ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া বোলিং স্কোরকার্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)
বোলার | ওভার | মেডেন | রান | উইকেট | ইকোনমি |
মিচেল স্টার্ক | ১৪.৪ | ৪ | ৬৬ | ৩ | ৪.৫৩ |
প্যাট কামিন্স (C) | ২০ | ৬ | ৭৩ | ০ | ৩.৬৫ |
জশ হ্যাজলউড | ১৫ | ৩ | ৪৪ | ২ | ২.৯৩ |
নাথান লায়ন | ২৮ | ৪ | ৮১ | ০ | ২.৮৯ |
বিউ ওয়েবস্টার | ৬ | ০ | ১৫ | ০ | ২.৫০ |
ম্যাচের ফলাফল এবং টুর্নামেন্ট পুরস্কার
ফলাফল | ম্যান অফ দ্য ম্যাচ | টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান | টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট |
দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী | এইডেন মার্করাম | জো রুট (১,৯৬৮ রান) | প্যাট কামিন্স (৮০ উইকেট) |
২০২৫ WTC ফাইনালের সেরা ৫টি মুহূর্ত
১. মার্করামের ঐতিহাসিক চতুর্থ ইনিংস সেঞ্চুরি: ২৮২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করার সময় এইডেন মার্করাম (১৩৬)-এর সেঞ্চুরিটি ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। চাপের মুখে তাঁর ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেয়।
২. প্যাট কামিন্সের প্রথম ইনিংসের ৬ উইকেট: প্রথম ইনিংসে কামিন্স মাত্র ২৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটিকে পুরোপুরি একপেশে হতে দেননি এবং অস্ট্রেলিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ৭৪ রানের লিড এনে দেন।
৩. রাবাদার ধ্বংসাত্মক ৫ উইকেট: ম্যাচের প্রথম দিনেই কাগিসো রাবাদা-র ৫ উইকেটের স্পেল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়, যা ম্যাচের প্রথম দিকের গতিপথ নির্ধারণ করেছিল।
৪. অধিনায়ক বাভুমার ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ: কঠিন পরিস্থিতিতে টেম্বা বাভুমা (৬৬*)-র ধৈর্যশীল ইনিংস এবং মার্করামের সাথে তাঁর জুটিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেয়।
৫. স্মিথ ও স্টার্কের প্রতিরোধ: অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে যখন দলের বড় বিপর্যয়, তখন স্টিভ স্মিথ (৭৯) এবং মিচেল স্টার্ক (৫৮*)-এর জুটির প্রতিরোধ অস্ট্রেলিয়াকে সম্মানজনক টার্গেট দিতে সাহায্য করেছিল।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
২০২৫ সালের WTC ফাইনাল কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
এই ফাইনালটি ইংল্যান্ডের লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই ফাইনাল ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ কে হয়েছিলেন?
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম তাঁর ঐতিহাসিক ১৩৬ রানের ইনিংসের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০২৫ WTC-এর চ্যাম্পিয়ন দল কোনটি?
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে।
WTC ফাইনাল ২০২৫-এর সময়কাল কত ছিল?
ফাইনালটি ১১ জুন থেকে ১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত, মোট চার দিনের মাথায় শেষ হয়েছিল।
Your comment will appear immediately after submission.