এশিয়া কাপ ক্রিকেটের এক বড় মঞ্চ, যেখানে ব্যাটসম্যানরা তাদের সেরাটা উজাড় করে দেন। এই টুর্নামেন্টের দুটি ফরম্যাট, ওয়ান ডে ওডিআই (ODI)এবং টি-২০(T20), উভয় ক্ষেত্রেই কিছু পারফরম্যান্স ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। নিচে সেই সব রেকর্ডগুলো নির্ভুলভাবে তুলে ধরা হলো।
১. এশিয়া কাপের ওডিআই ফরম্যাটে রেকর্ড
ওডিআই ফরম্যাটেই এশিয়া কাপের দীর্ঘ ইতিহাস গড়ে উঠেছে, যেখানে ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য এবং দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ওডিআই(ODI)
ক্রমিক নং | খেলোয়াড় | দেশ | মোট সেঞ্চুরি | সর্বোচ্চ স্কোর | প্রতিপক্ষ | সাল |
১. | সনাথ জয়সুরিয়া | শ্রীলঙ্কা | ৬ | ১৩০ | ভারত | ২০০৪ |
২. | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা | ৪ | ১২১ | বাংলাদেশ | ২০০৮ |
৩. | বিরাট কোহলি | ভারত | ৩ | ১৮৩ | পাকিস্তান | ২০১২ |
৪. | শোয়েব মালিক | পাকিস্তান | ৩ | ১৪৩ | ভারত | ২০০৪ |
৫. | তিলকরত্নে দিলশান | শ্রীলঙ্কা | ৩ | ১৩৭ | বাংলাদেশ | ২০১০ |
৬. | শচীন টেন্ডুলকার | ভারত | ২ | ১১৪ | বাংলাদেশ | ২০১২ |
৭. | মুশফিকুর রহিম | বাংলাদেশ | ২ | ১৪৪ | শ্রীলঙ্কা | ২০১৮ |
৮. | মারভান আতাপাত্তু | শ্রীলঙ্কা | ১ | ১০৫ | পাকিস্তান | ২০০০ |
৯. | রোহিত শর্মা | ভারত | ১ | ১১১* | পাকিস্তান | ২০১৮ |
১০. | মহেন্দ্র সিং ধোনি | ভারত | ১ | ১০৯* | হংকং | ২০০৮ |
সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরি ওডিআই(ODI)
ক্রমিক নং | খেলোয়াড় | দেশ | মোট হাফ-সেঞ্চুরি | সর্বোচ্চ স্কোর | প্রতিপক্ষ | সাল |
১. | সনাথ জয়সুরিয়া | শ্রীলঙ্কা | ১১ | ৯৯ | পাকিস্তান | ২০০০ |
২. | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা | ৮ | ৯৯ | ভারত | ২০০৮ |
৩. | শোয়েব মালিক | পাকিস্তান | ৭ | ৯৬ | ভারত | ২০০০ |
৪. | বিরাট কোহলি | ভারত | ৫ | ৭২ | বাংলাদেশ | ২০১৮ |
৫. | রোহিত শর্মা | ভারত | ৫ | ৯১ | পাকিস্তান | ২০১৮ |
৬. | শচীন টেন্ডুলকার | ভারত | ৫ | ৯৬ | পাকিস্তান | ২০০৮ |
৭. | রশীদ খান | আফগানিস্তান | ৪ | ৭৩ | বাংলাদেশ | ২০১৮ |
৮. | সৌরভ গাঙ্গুলী | ভারত | ৪ | ৯০ | শ্রীলঙ্কা | ২০০৮ |
৯. | ইউনুস খান | পাকিস্তান | ৪ | ৯৩ | শ্রীলঙ্কা | ২০০৪ |
১০. | ইনজামাম-উল-হক | পাকিস্তান | ৪ | ৮৬ | শ্রীলঙ্কা | ১৯৯৭ |
২. এশিয়া কাপের টি-২০(T20) ফরম্যাটে রেকর্ড
টি-২০ ফরম্যাটে এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে অনেক পরে, তাই এখানে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর টি-২০(T-20)
এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন খেলোয়াড় সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন।
- বিরাট কোহলি (ভারত): ১২২* রান (২০২২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে)
- বাবর হায়াত (হংকং): ১২২ রান (২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে)
সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরি টি-২০(T-20)
ক্রমিক নং | খেলোয়াড় | দেশ | মোট হাফ-সেঞ্চুরি | সর্বোচ্চ স্কোর | প্রতিপক্ষ | সাল |
১. | রোহিত শর্মা | ভারত | ৪ | ৮৩ | বাংলাদেশ | ২০১৬ |
২. | বিরাট কোহলি | ভারত | ৪ | ৬০ | পাকিস্তান | ২০২২ |
৩. | বাবর আজম | পাকিস্তান | ৩ | ৭৪ | ভারত | ২০২২ |
৪. | মোহাম্মদ রিজওয়ান | পাকিস্তান | ৩ | ৭১* | হংকং | ২০২২ |
৫. | মোহাম্মদ শেহজাদ | আফগানিস্তান | ৩ | ৬১ | বাংলাদেশ | ২০১৬ |
৬. | শোয়েব মালিক | পাকিস্তান | ২ | ৫৮ | শ্রীলঙ্কা | ২০১৬ |
৭. | মোহাম্মদ নবী | আফগানিস্তান | ২ | ৫৬* | শ্রীলঙ্কা | ২০২২ |
৮. | উমর আকমল | পাকিস্তান | ২ | ৫০* | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ২০১৬ |
৯. | সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ | ২ | ৮৪ | পাকিস্তান | ২০১৬ |
১০. | সরফরাজ আহমেদ | পাকিস্তান | ২ | ৫৮ | ভারত | ২০১৬ |
এশিয়া কাপের এই রেকর্ডগুলো শুধু কিছু পরিসংখ্যান নয়, বরং ক্রিকেটারদের কঠোর পরিশ্রম, প্রতিভা এবং বড় মঞ্চে পারফর্ম করার সাহসের প্রতিচ্ছবি। সনাথ জয়সুরিয়ার মতো কিংবদন্তিরা যেমন ওডিআই ফরম্যাটে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়েছেন, তেমনি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং বাবর আজমের মতো আধুনিক তারকারা টি-২০(T20) ফরম্যাটে নতুন ইতিহাস তৈরি করছেন। আগামী দিনে এই রেকর্ডগুলো কে ভাঙতে পারেন, তা দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন।
Your comment will appear immediately after submission.