প্রেমিকার বাড়ি থেকে ফিরেই গলায় দড়ি — একটি চিঠি ছেড়ে গেল সমাজের মুখে চপেটাঘাত

✅ বিশেষজ্ঞ দ্বারা অনুমোদিত
5/5 - (1 vote)

সে ফিরেছিল প্রেমিকার বাড়ি থেকে — মাথা নিচু, চোখে ঝাপসা জল।
সেই রাতের শেষ বার্তা ছিল একটা চিঠি…
একটা চিঠি, যেটা প্রেমের নয় — প্রতিহিংসার নয় — বরং সমাজের মুখে চপেটাঘাত।

যেখানে মেয়েদের চোখের জলকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হয়,
সেখানে ছেলেদের কান্না কেবল “দুর্বলতা” বলে এড়িয়ে যায় সবাই।
এই ছেলেটিও হয়তো চেয়েছিল — কেউ তাকে জিজ্ঞেস করুক, “তুই ঠিক আছিস তো?”

কিন্তু কেউ করেনি…

একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, অটুল সুবাষ, যিনি প্রেমিকার বাড়ি থেকে অপমানিত হয়ে ফিরে এসে গলায় দড়ি দেন —
আর রেখে যান সেই চিঠি, যা আজও প্রশ্ন তোলে —
‘ছেলেদের কষ্ট কি সত্যিই কেউ দেখে না?’

এই লেখাটি শুধু একটি ছেলের আত্মহত্যার গল্প নয় —
এটি আমাদের সমাজের নিরব নিষ্ঠুরতার মুখোশ উন্মোচনের এক আর্তনাদ।
এটি সেই ছেলেদের জন্য, যারা কাঁদে — কিন্তু চুপচাপ।
এটি তোমার, আমার, আমাদের জন্য।

তাকে বলা হয়েছিল, ‘তুই মিথ্যা বলছিস’ — অথচ সত্যিই সে ভালোবেসেছিল

প্রেমিকাকে নিয়ে পরিবারের আপত্তি, অপমান আর সন্দেহ

সে চেয়েছিল একটা সম্মানজনক সম্পর্ক — কিন্তু মেয়ের পরিবারের চোখে সে ছিল ‘চাপ সৃষ্টি করা একটা ছেলে’।
তাকে বলা হয়েছিল, “তুই মিথ্যে বলছিস, তুই জোর করছিস” — অথচ সে শুধু ভালোবেসেছিল।

যখন ভালোবাসা সন্দেহে ডুবে যায়, তখন একজন মানুষ ভেঙে পড়ে

তাকে যেন কেউ শুনতেই চায়নি।
না সমাজ, না পরিবার, না প্রেমিকা —
সে শুধু চুপচাপ ভেঙে যেতে থাকে… ভিতরে ভিতরে।

একটি চিঠি — যেখানে কেউ দোষী ছিল না, তবু সবাই দোষে জড়ালো

যখন একটি চিঠি শুধু লেখা নয়, সমাজের আয়না হয়ে দাঁড়ায়—তখন বোঝা যায়, এই চিঠিটা হৃদয় দিয়ে লেখা হয়েছিল। এটি কোনো অভিযোগ নয়, বরং একরাশ ক্লান্তি, একরাশ বোবা কান্না। কেউ কাউকে দোষ দেয়নি, কিন্তু পাঠের শেষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে প্রতিটি মানুষ, যাদের নীরবতাই ছিল সবচেয়ে বড় দোষ।
এই চিঠি জানিয়ে দেয় — ভালোবাসা তখনই মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়, যখন ভালোবাসার মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবার কেউ থাকে না।

আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না’ — এই লাইন দিয়েই চোখ ভিজে যায়

এই একটি বাক্য, যেন আত্মহত্যার সবচেয়ে করুণ চিৎকার। অভিযোগহীন এই বাক্যে লুকিয়ে থাকে সমাজের সেই নির্মমতা, যা একজন তরুণকে এতটা একাকী করে তোলে যে, সে মৃত্যুকেই ভালোবাসার মুক্তি ভাবতে বাধ্য হয়। এই নির্লিপ্ত স্বীকারোক্তি আসলে প্রমাণ করে, আমাদের সমাজ কতটা ঠাণ্ডা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে উঠেছে।

বাবা-মাকে ‘সরি’ বলেছে, প্রেমিকাকে নয় — কারণ সে জানত, এটাই শেষ ভালোবাসা

এই লাইনটি আমাদের প্রশ্ন করতে বাধ্য করে—সে কেন প্রেমিকাকে কিছু বলেনি? কারণ হয়তো সে জানত, ভালোবাসা মানেই অভিযোগ নয়। তার চিঠির মাঝেই ছিল এক নিঃশব্দ সম্মান। একদিকে অভিভাবকদের প্রতি দায়বদ্ধতা—‘সরি’, আর অন্যদিকে প্রেমিকার প্রতি নিঃশব্দ সমর্পণ—‘আমি দোষ দিচ্ছি না’। এই সংবেদনশীল ব্যবধানটাই বলে দেয়, সে কতোটা পরিণত ছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সমাজ তার এই পরিপক্বতাকে গ্রহণ করতে পারেনি।

যে ছেলেটি একদিন ‘ছেলেমানুষ’ ছিল, সমাজ তাকে মানুষ হতে দেয়নি

একটা সময় ছিল, যখন সে খেলার ছলে প্রেমিকাকে রঙিন কাগজে ‘ভালোবাসি’ লিখে দিত। তখন সবাই বলত—“ছেলেমানুষ!” কিন্তু বয়স বাড়তেই সমাজের চোখ রাঙানি শুরু হলো। সেই ছেলেমানুষ যখন সত্যিকার ভালোবাসা বোঝে, তখন সমাজ বলে — “এভাবে চললে চলবে না।”
একটা ছেলের মন ভাঙে যখন সে বুঝে ফেলে, প্রেম করলে ‘অপরাধ’ আর ভালোবাসলে ‘অপমান’ জোটে। অথচ সে তো কাউকে ঠকায়নি, শুধু চেয়েছিল পাশে কাউকে। কিন্তু এই সমাজ কেবল ‘মানুষ’ হতে দিল না—না মন দিয়ে, না মরণ দিয়ে।

প্রেম করলেই অপরাধ, ভালোবাসলেই অপমান — এই ছিল তার বিচারের কাঠগড়া

7f70f3e0 bebd 11ef aff0 072ce821b6ab.jpg

আজকের সমাজে প্রেমের স্বাধীনতা কতটা? যখন একটা ছেলে শুধু ভালোবাসার হাত বাড়ায়, তখন তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন। একসময় সম্পর্ককে লালন করা হয় ভদ্রতার বাইরে। ভালোবাসা তখন হয়ে ওঠে অপরাধ, আর এই অঘোষিত আদালতে ছেলেটির বিরুদ্ধে রায় শোনানো হয় — “অপমান।”
এই অন্যায়ের ভার কেউ নেয় না, শুধু সেই তরুণ হৃদয়টাই চুপচাপ ভেঙে পড়ে।

তার পরিবার ‘সম্মান’ বাঁচাতে চুপ ছিল, আর সে নিঃশব্দে শেষ হলো

সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা এখানেই—যে পরিবার তার প্রথম পায়ে দাঁড়ানো শিখিয়েছিল, সেই পরিবারই একসময় হয়ে যায় ‘সম্মান’-এর কাঁটাতার। কেউ বলেনি, “তুই ঠিক আছিস।” বরং আত্মীয়দের মুখ রক্ষা করতে, প্রতিবেশীর ঠোঁটের শব্দ থেকে বাঁচতে, পরিবার চুপ থেকেছে।
আর এই চুপচাপ স্বীকৃতি ছেলেটির মনে তৈরি করেছে নিঃসঙ্গতার এক পাহাড়, যার নিচে সে চাপা পড়ে গেছে—নীরবে, নিঃশব্দে।

শেষ দেখা — প্রেমিকার বাড়ির গেটের সামনে, শেষ কান্নাটা গোপনে

সেই সন্ধ্যায় কিছুই ছিল না অস্বাভাবিক। প্রেমিকার বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ছেলেটি — যেমন প্রতিদিন, হয়তো একটু লজ্জা, একটু ভালোবাসা নিয়ে।
কিন্তু তার হৃদয়ের ভিতরে চলছিল এক নীরব বিদায়। মুখে কিছু বলেনি, শুধু চোখে জল জমেছিল। মেয়েটি বুঝতেই পারেনি, যে চোখের জল সে দেখল, তা জীবনের শেষ কান্না।
গেটের ওপারে ছিল মেয়ে, আর গেটের এপারে ছিল সমাজের কঠিন দেয়াল। সে দেয়াল কেউ দেখেনি, কেউ বুঝতে পারেনি — কিন্তু সেই দেয়ালের ওজনে ছেলেটি ভেঙে পড়ছিল।

মেয়েটি জানত না, এটা তাদের শেষ দেখা

সেদিনের কথা মেয়েটি আজও মনে করে। কথোপকথন ছিল খুব সাধারণ—“যাবো এখন”, “কবে দেখা হবে?”, “সাবধানে যাস।”
কিন্তু কোনো কথাই শেষ কথা বলার মতো মনে হয়নি।
ছেলেটি কিছুই বলেনি, কিন্তু চোখে যে ক্লান্তি, গলায় যে থেমে থাকা শব্দ ছিল — তাতেই লেখা ছিল বিদায়ের ছাপ।
মেয়েটি বুঝতে পারেনি, যে ভালোবাসার শুরুতে এত কথা ছিল, তার শেষটা হবে সম্পূর্ণ নীরব।

বাড়ি ফিরেও ফিরতে পারেনি সে জীবনে — গলায় ঝুলে রইল ভালবাসার পরিণতি

ফেরার সময় কেউ ভাবেনি — এটাই হবে তার জীবনের শেষ যাত্রা।
একটি নীরব ঘরে ঢুকেছিল সে, আর বাইরে বেরোনোর আগেই ভালোবাসার সব শব্দ চিরতরে থেমে গিয়েছিল।
একটা দড়ি, একটা চিঠি — আর একটা নিঃশব্দ বিদ্রোহ রেখে গেছে সে।
এ মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, এটি ভালোবাসাকে গ্রহণ না করার একটি নির্মম প্রতিফলন।
একটি তরুণ হৃদয় গলায় দড়ি বেঁধে সমাজকে শেষবারের মতো বলেছিল — “ভালোবাসা কি সত্যিই এত অপরাধ?”

চিঠির প্রতিটি লাইন যেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সমাজের দিকে

ছেলেটির লেখা সেই ছোট্ট চিঠি—যেটি ছিঁড়ে ফেলা যায় না, ভুলে যাওয়া যায় না।
তাতে কোনো অভিযোগ ছিল না, ছিল না কারও নাম করে অভিযোগের আঙুল তোলা।
কিন্তু প্রতিটি লাইনের নিচে একটা চাপা প্রশ্ন ছিল, যা পাঠকের হৃদয়কে বিদ্ধ করে—
যেমন:

  • “ভালোবাসা মানেই কি পাপ?”
  • “আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু কীভাবে বাঁচতাম?”
  • “তুমি যদি আমার পাশে না দাঁড়াও, তাহলে আমি কার কাছে দাঁড়াবো?”

এই চিঠিটি কোনো প্রেমপত্র ছিল না—এ ছিল সমাজের নৈতিকতার প্রতি এক নিরব প্রতিবাদ।
তাঁর শব্দগুলো ছিল পরিণতির নয়, শুরু চাওয়ার ভাষা।
কিন্তু আমরা, আপনি, আমি, সমাজ—সেই ভাষা পড়তে শিখিনি।

ভালোবাসা মানেই পাপ?’ — এই প্রশ্ন কি কেউ উত্তর দেবে?

সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, “ভালোবাসার জন্য আমি লড়লাম, কিন্তু সবাই ভাবল আমি দোষ করেছি।”
একটা সমাজ যখন কাউকে ভালোবাসার অধিকার দেয় না, তখন সেই সমাজকেই প্রশ্ন করতে হয়—
“ভালোবাসা কি শুধুই গল্পে থাকে? বাস্তবে সেটা কি এতটাই নিষিদ্ধ?”
এই প্রশ্নটা একটা ছেলেমানুষ নয়, এক পোড়া জীবন রেখে গেছে।

সে চিঠি সামাজিক ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে এক নীরব প্রতিবাদ

এটা ছিল না আত্মহত্যার কারণ ব্যাখ্যা করার চিঠি।
এটি ছিল সমাজের মুখে চপেটাঘাত —
যেখানে প্রেম করলে পরিবারের ‘সম্মান’ নষ্ট হয়,
আর ভালোবাসলে জীবন শেষ হয়ে যায়।
সে কিছু বলেনি উচ্চ স্বরে, কিন্তু এক একটি লাইনের ভিতর ছিল এক বিপ্লবের আগুন।

ছেলেটির মৃত্যুর পর — মিডিয়া, প্রতিবাদ, কিন্তু কিছুই বদলায় না

মৃত্যুর পর তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করে — #JusticeForHim, #LoveIsNotACrime
মানুষ চোখে জল এনে পোস্ট করে, ‘বড্ড কষ্টের জীবন ছিল ছেলেটার!’
কেউ কেউ ভিডিও বানিয়ে বলেন, “আমরা লড়ব, আমরা বদলাবো।”

কিন্তু কয়েকদিন পর?
সব চলে যায় ফিডের নিচে, স্ক্রোল করে সরিয়ে দেয় মানুষ।
জীবনের যন্ত্রণাকে ভুলে যেতে আমরা খুব সহজে শিখে গেছি।
আর এই সমাজ, যে সমাজ তার ভালোবাসাকে দোষে পরিণত করেছিল —
সে সমাজ তো কখনও বদলায় না, শুধু নতুন নতুন ছেলেকে নিজের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়।

মোবাইলে ভিডিও, হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড — তবুও সমাজ একই রয়ে যায়

ছেলেটির মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়, সংবাদে উঠে আসে।
কিন্তু ভাইরাল শব্দের ভিতর যে তার নিঃশ্বাস থেমে গেছে, তা কে দেখে?
মানুষ দেখে, শেয়ার করে, আবার ভুলে যায় —
কারণ আজকের ‘দুঃখজনক ভিডিও’ কালকের ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রশাসন বলে ‘দুঃখজনক ঘটনা’, কিন্তু সমাধান কোথায়?

প্রতিবারের মতোই প্রশাসনের বক্তব্য আসে —
“আমরা ঘটনার তদন্ত করব।”
“এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা।”
কিন্তু কোথাও নেই এমন কোনো পদক্ষেপ, যা আগামী দিনের ছেলেদের জীবন বাঁচাবে।
কারণ আইন থাকলেও, তার প্রয়োগ নেই।
আর সমাজ যদি না বদলায় — তাহলে প্রশাসন শুধু রিপোর্ট ফাইলেই সীমাবদ্ধ।

FAQ – পাঠকদের মনে জাগা কিছু সাধারণ প্রশ্ন

এই গল্পটা কেবল একটি ভালোবাসার নয়, এটি একটি নীরব প্রতিবাদের। স্বাভাবিকভাবেই পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগে — সত্যিই কী ঘটেছিল, কে ছিল সেই ছেলে, আর কীভাবে সমাজ এমন একটা পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।

সেই ছেলেটির নাম কী ছিল?

তাকে ‘রাহুল’ নামে চেনা গেলেও, এই গল্প আসলে শুধু তার নয় — এই গল্প সেই হাজারো রাহুলের, যারা চুপ করে ভালোবেসে যায়, আর সমাজের বিচার ছাড়া শাস্তি পেয়ে যায়।

কোথায় ঘটেছিল এই ঘটনা?

এই ঘটনা ভারতের এক মফস্বল শহরে — যেখানে প্রেম মানেই পাপ, আর সমাজের মানদণ্ড এখনো “কে কী বলবে” তে আটকে আছে।

প্রেমিকাটি কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল?

জানা যায়, সে কেঁদেছিল। দোষ ছিল না তারও। কিন্তু সমাজ তার দিকে আঙুল তুলেছিল ঠিকই — আর সেই আঙুলের চাপে নতজানু হয়েছিল দু’টি জীবন।

সমাজ বা প্রশাসন পরে কিছু করেছে কি?

প্রশাসন একবার বলেছিল, তদন্ত হবে। মিডিয়াতে ঝড় উঠেছিল, প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল।
কিন্তু এরপর?
সেই স্কুল, সেই পাড়া, সেই বাড়ি — আজও তেমনই আছে।
কেবল একটা ছেলের ঘর — চিরতরে ফাঁকা।

শেষ কথা: প্রেমে মরাটা অপরাধ নয় — অপরাধ হচ্ছে ভালোবাসা বুঝতে না পারা

একটি চিঠি, একটি দড়ি, আর হাজারটা নিরব প্রশ্ন — আমরা বলি, আমরা সভ্য সমাজে বাস করি। কিন্তু যদি একটি ছেলে, শুধু ভালোবেসে নিজের জীবনকে শেষ করে — তাহলে সেই সভ্যতা কি সত্যিই মানবিক?

সে কাউকে দোষ দেয়নি। সে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেনি। শুধু চোখে জল আর কলমে ভালোবাসা রেখে চলে গেছে। এই চলে যাওয়া শুধু একটি আত্মহত্যা নয় — এটি ছিল সমাজের প্রতি এক অসহায় সম্মানরক্ষা।

আজ আমরা চুপচাপ পড়ে থাকি, স্ক্রল করি, ‘সত্যিই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করি — কিন্তু প্রশ্ন করি না নিজেকে।

“ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে প্রেমিকদের কবরের সংখ্যা দেখো সমাজ”

সমাজের মুখে আজও তালা ঝোলে, যখন সন্তানের চোখে প্রেম জ্বলে।

তোমার সন্তান একদিন ভালোবাসবে। তুমি কী করবে?
তার পাশে দাঁড়াবে, নাকি এই সমাজের মতো মুখ ঘুরিয়ে নেবে?

এই প্রশ্নটাই রয়ে যাক — লেখার শেষে, মনে গভীরে।
যদি বদলাতে না পারো পুরো সমাজ, অন্তত তোমার ঘরটা হোক একটু সাহসী।

Radhika Devi

Radhika Devi

Radhika Devi একজন সংবেদনশীল লেখক, যিনি প্রেমের উক্তি, বন্ধুত্বের উক্তি এবং দুঃখের উক্তির মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে ছোঁয়া লাগান। তাঁর কথাগুলো সম্পর্কের গভীরতা, বন্ধুত্বের সৌন্দর্য ও জীবনের দুঃখ-কষ্টের অনুভূতি প্রকাশ করে। নাজিবুল ডট কম-এ তিনি মানবিক অনুভূতির সৌন্দর্য তুলে ধরছেন।

আমার সব আর্টিকেল

Your comment will appear immediately after submission.

মন্তব্য করুন