২৫শে মার্চ, ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড।
টসে জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইনিংসের শুরুতে ডেরেক প্রিঙ্গলের বোলিং তোপে পাকিস্তানের দুই ওপেনার আমির সোহেল এবং রমিজ রাজা দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইমরান খান এবং অভিজ্ঞ জাভেদ মিয়াঁদাদ। এই জুটি তৃতীয় উইকেটে ১৩৯ রান যোগ করে দলের স্কোরকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায়। মিয়াঁদাদ ৫৮ রান করে আউট হলেও ইমরান খান ১১০ বলে ৭২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষদিকে ইনজামাম-উল-হক ৩৫ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান তোলে। ইংল্যান্ডের পক্ষে ডেরেক প্রিঙ্গল ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন।
পাকিস্তান স্কোরকার্ড: ২৪৯ রান/৬ উইকেট/৫০ ওভার
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুটা ভালো করলেও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। নীল ফেয়ারব্রাদার ৬২ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পাননি। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মুশতাক আহমেদ ৪১ রানে ৩টি এবং ওয়াসিম আকরাম ৪৯ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।শেষ পর্যন্ত ৪৯.২ ওভারে ২২৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।পাকিস্তান ২২ রানে জয়লাভ করে।
ইংল্যান্ড স্কোরকার্ড: ২২৭ রান/১০ উইকেট/৪৯.২ওভার
এই জয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা অর্জন করে।
ওয়াসিম আকরাম তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
ইমরান খানের নেতৃত্ব, দলের অদম্য মনোবল এবং ওয়াসিম আকরামের অসাধারণ বোলিং এই ঐতিহাসিক জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ক্রিকেট ইতিহাসে এক স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে।
Your comment will appear immediately after submission.